মাসলের রেস্ট, রিকভারি এবং ওভারট্রেইন
আমরা শুরু থেকেই একটা ধারণা নিয়ে থাকি যত বেশি এক্সারসাইজ তত বেশি গেইন। আসলেই কি তাই? দুই সেট বারবেল কার্ল করেই আমরা দেখি বাইসেপ সেই ফুলে উঠেছে। কিন্তু এটাই কি মাসল গেইন? এটা ঠিক যে ব্যায়াম করার পরপরই নির্দিস্ট মাসলের স্ফীতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বাস্তবে গেইনটা শুরু হয় যখন সেই মাসলটা পুরোপুরি রিকভার হয় তার পর থেকে।
জিমে গিয়ে ব্যায়াম করে আমরা সাথেসাথেই মাসল গেইন করি না। আমরা মাসলের ফাইবার গুলোকে একটিভ করে দেই। কিছু ফাইবার ছিঁড়ে দেই। আর যখন আমরা রেস্টে থাকি তখন শরীর সেই ফাইবারগুলো রিকভার করতে থাকে। তাই আজ আমরা মাসলের রেস্ট, রিকভারি এবং ওভারট্রেইন নিয়ে জানবো।
রেস্ট
আমরা জিমে যে ব্যায়ামই করি না কেন, তা আমাদের মাসলগুলোকে একটিভ করে। শরীরকে বলা হয় Adaptive Machine। মাসলের প্রেশারগুলোকে তাই সে রিকভার করার চেষ্টা করবে। একটিভ হওয়া মাসল ফাইবারগুলোতে পুষ্টি সরবরাহ করার চেষ্টা করবে। মাসল তৈরি এবং মাসলের মেরামত প্রক্রিয়ার বেশিরভাগ কাজই হয় যখন আমরা ঘুমে থাকি তখন। তাই রেস্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ভালোভাবে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
রিকভারি
প্রত্যেকটি মাসলেরই একটা রিকভারি টাইম থাকে। তাই প্রতিদিন একই মাসলের ব্যায়াম আসলে আমাদের মাসল বিল্ড হওয়ার সময় পায় না। এজন্যই ব্যায়ামের রুটিনে দেখা যায় সপ্তাহের একেকদিনের রুটিনে একেকটি মাসলের ব্যায়াম। কোন ব্যায়ামের পরে মাসলের রিকভার হতে কতটুকু সময় লাগবে এটা আসলে ব্যায়াম আর শরীরের ধরণের উপর নির্ভর করে।
ওভারট্রেইনিং
একটি নির্দিস্ট মাসলের এত বেশি ব্যায়াম করলেন যে মাসল বিল্ড হওয়ার বদলে উলটো দূর্বল হয়ে পরলো। এটা হলো ওভারট্রেইনিং। ওভারট্রেইনিং হচ্ছে কি না তা বোঝার কিছু পদ্বতি আছে। যেমনঃ সারাদিনই ঝিমুনি লাগা, দূর্বল মনে হওয়া, আগের মতো স্বাভাবিক শক্তি না পাওয়া, স্বাভাবিক ওজন নিয়ে ব্যায়াম করতে না পারা ইত্যাদি।