বডিবিল্ডিং বা মাসল বিল্ডিং এর ৭টি ভুল
নিচের সাতটি পয়েন্ট মনোযোগ দিয়ে দেখুন। কারণ এগুলোর যেকোন একটি বা তার বেশি যদি আপনি করে থাকেন তাহলে আপনার মাসল ঠিকমতো বাড়তে পারছে না। সুতরাং চেষ্টা করুন এই সাতটি বিষয় এড়িয়ে চলতে।
১। ওয়ার্কআউট বাদ দেওয়া বা গ্যাপ দেওয়া
আমরা ঠিকমতো বুঝতেও পারি না এটা কত বড় একটা ক্ষতি। একটি ওয়ার্কআউট বাদ দিলে সেটি আর কখনোই ফিরে পাওয়া যাবে না। ধরা যাক আপনি ১ বছরে ২০টি ওয়ার্কআউট বাদ দিয়েছেন। আপনি সবসময়ই এই ২০টি ওয়ার্কআউট পিছিয়ে থাকবেন। এই ২০টি ওয়ার্কআউট আপনি পরবর্তি ব্যায়ামের সাথে যোগও করতে পারবেন না। তাহলে ওভারট্রেইন হয়ে যাবে। সুতরাং ওয়ার্কআউট বাদ দেওয়া আপনাকে স্থায়ীভাবে পিছিয়ে দেয়, যা আপনি কখনোই ফিরে পাবেন না।
২। নির্দিষ্ট মাসলে প্রেশার দিয়ে ব্যায়াম না করা
যেকোন এক্সারসাইজের মূল লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট মাসলকে কাজে লাগানো, প্রেশার দিয়ে এর ভেতরকার Muscle Fibers কে জাগ্রত করা। এই কাজটি করতে পারলেই মাসল বিল্ড করবে। নির্দিষ্ট মাসলে প্রেশার দিয়ে ব্যায়াম করার মাধ্যমে মাসলের প্রত্যেকটি অংশকে কাজে লাগাতে পারবেন, ভেতরের রক্তসরবরাহ গতিশীল করতে পারবেন এবং ফলাফল স্বরূপ পাবেন চমৎকার এবং বড় মাসল।
৩। দৈনিক পরিপূর্ণ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া
মাসল মানেই হচ্ছে পানি এবং প্রোটিন। তাই প্রতিদিন শরিরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ না হলে মাসল বিল্ড করা অসম্ভব। সাধারণত প্রতিদিন আমাদের শরীরের ওজনের যতটুকু তার অর্ধেক প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দুধ, ডিম, কলা, মাংস প্রোটিনের আদর্শ উদাহরণ।
৪। খুব তাড়াতাড়ি ওয়ার্কআউট রুটিন চেঞ্জ করা
খুব তাড়াতাড়ি ওয়ার্কআউট রুটিন চেঞ্জ করার দরকার নেই। বডিবিল্ড করার প্রক্রিয়াটি ধীর। রুটিন অনুযায়ী প্রত্যেকটি সেট, প্রত্যেকটি রেপ্স কমপ্লিট করবেন। সম্ভব হলে ওয়ার্কআউট অনুসারে সেট বাড়াবেন, রেপ্স বাড়াবেন। যখন দেখবেন যে রুটিন অনুযায়ী খুব ভালোভাবে ব্যায়াম কমপ্লিট করা যাচ্ছে তখন রুটিন চেঞ্জ করবেন।
৫। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
মাসলবিল্ডিংএর অন্যতম বাঁধা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। মাসল বাড়ার প্রক্রিয়াটি কাজ করে ঘুমের সময়। গড়ে ৮ ঘন্টা ঘুমান। ঠিকমতো ঘুম না হলে ওয়ার্কআউট, খাবার হজম, শরীরের বৃদ্ধি সবই বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৬। সঠিক ওয়ার্কআউট প্ল্যান অনুসরন না করা
ব্যাপারটা এমন না যে শুধু ইচ্ছামতো ব্যায়াম করলেই হবে। তাতে মাসল হয়তো ফুলবে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ি হবে না। ওয়ার্কআউটের নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। আপনার শরীরের ফ্যাট লেভেল, বয়স, স্ট্রেন্থ অনুযায়ী অভিজ্ঞ ট্রেইনারের কাছ থেকে ওয়ার্কআউট প্ল্যান নিয়ে সেটি ফলো করবেন।
৭। ওভারট্রেইনিং
ওভারট্রেইনিং মানে হলো অতিরিক্ত ওয়ার্কআউট করা। মাসল বিল্ডিং এর জন্য ওভারট্রেইনিং মারাত্বক খারাপ জিনিস। এটি আপনার মাসল বিল্ড তো করবেই না উলটো আপনার মাসল নষ্ট করে দিবে। কিছু কিছু ওয়ার্কআউট সপ্তাহে ২/৩ দিন করতে হয়। সেগুলো প্রতিদিন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাসলকে বিশ্রাম দিতে হবে। তাহলেই মাসল ফুলবে।
মাসল বিল্ড করার জন্য অবশ্যই উপরের সাতটি বিষয় খেয়াল করবেন।