মেদ-চর্বির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, কিভাবে কমবে মেদ-চর্বি
বসে বসে মেদ কমানোর কোনো সুযোগ নাই। পরিশ্রম করতে হবে। মানতে হবে কিছু নিয়ম। শরীরের বাড়তি মেদ-চর্বি কমানোর ব্যাপারে দুইটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার এবং কায়িক শ্রম।
মেদ জমার কারণ
শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা কম হওয়ার কারণে শরীরে মেদ জমে। এছাড়াও চর্বি ও মিস্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে, খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পরলে, এবং দৈনন্দিন জীবনের আরো কিছু ছোট-ছোট অভ্যাসের জন্য মেদ জমতে পারে। জেনেটিক বা বংশগত কারণে শরীরে মেদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৪০ থেকে ৮০ ভাগ। বিভিন্ন সফট ড্রিক্স পানের কারণে শরীরে মেদ জমে।
খাবার
আপনি খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে মেদ কমাতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে পারেন :

– দুপুরের খাবারে সালাদ এবং সবজি রাখতে পারেন।
– সকালে প্রোটিন জাতীয় খাবার খান।
– রাতে আমিষ জাতীয় খাদ্য রাখতে পারেন।
– শর্করা ও চিনি আছে এমন খাবার কমাতে হবে।
– প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।
– চর্বিজাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।
– খাওয়ার পরপরই বসে থাকা কিংবা শুয়ে থাকা যাবে না।
– একাধারে অনেকক্ষণ বসে থাকা যাবে না।
– কোমল পানীয় এবং কৃত্রিম ফলের রস খাওয়া মানা।
– আঁশযুক্ত শর্করা খেতে হবে, কিন্তু পরিমাণে অল্প।
– দিনে প্রচুর পানি খাবেন, কিন্তু খাবারের সঙ্গে কিংবা একবারে অনেক পানি খেয়ে ফেলা যাবে না।
– মেদ কমানোর ডায়েট শুরু করার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
কিছু খাবার সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার, গরুর মাংস এবং পশুর চর্বি; দিনে ৪০০ গ্রামের বেশি স্টার্চ জাতীয় (ভাত, রুটি ইত্যাদি)। মাটির নিচে জন্মে এইরূপ সবজি (আলু, গাজর ইত্যাদি). তেল ভারিও ভাজা-পোড়া পরিতাগ করা উচিত। কখনোই খুব পেট ভরে খাবার খাওয়া উচিত না। আর খাবার পর বিশেষ করে রাতে ঘুমানো উচিত না। কমপক্ষে ২ ঘন্টা পর ঘুমানো উচিত।
আপনার অফিস যদি বাসা থেকে খুব দুরে না হয় তাহলে হেটে আসার চেষ্টা করুন।
পেটের ব্যায়াম
– প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে দৌড়াতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট।
– সাইকেলিং করতে পারেন কমবেশি পাঁচ মিনিট। যদি সাইকেলিং করার সুযোগ না থাকে, অন্য ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করুন।
– প্রথমেই খালি হাতে খানিকটা ব্যায়াম করে মাংসপেশিকে উজ্জীবিত করে নিন। এটা হবে নিদেনপক্ষে পাঁচ মিনিট।
– দড়ি লাফানোর অভ্যাস করতে পারেন। পাঁচ মিনিট করে করুন।
– প্রথমেই শক্ত বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে মাথার পেছনে দুই হাত সোজা করে রাখুন। পা মাটির সঙ্গে জোড়া করে লাগানো থাকবে। এবার পুরো শরীর আস্তে আস্তে ওপরে তুলে হাত দিয়ে পা স্পর্শ করতে হবে। এভাবে ১০ বার করে তিনবার করুন।
– শোয়া অবস্থাতেই এবার হাত থাকবে কোমরের নিচে, দুই পা থাকবে সোজা। শরীর ও হাত স্থির হয়ে থাকবে। এবার পা দুটো আস্তে আস্তে একসঙ্গে ওপরে তুলতে হবে আবার নামাতে হবে। পুরো সময়ে পা মাটিতে ছোঁয়ানো যাবে না। এভাবে ১০ বার করে তিনবার করুন।
– বিছানায় শুয়ে থেকেই এবার দুই হাত ভাঁজ করে মাথার পেছনে নিন। ডান পা ভাঁজ করে মাটি থেকে তুলে ডান হাঁটু বাঁ কনুইয়ে লাগানোর চেষ্টা করুন। এবার হবে ঠিক উল্টো, বাঁ পা ভাঁজ করে মাটি থেকে তুলে বাঁ হাঁটু ডান কনুইয়ে লাগানোর চেষ্টা করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড করে তিনবার করুন।
————————— সংগৃহীত ————————-